মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদ :
পটুয়াখলাীতে (DNC) এর অভিযানে মাদকসহ নিশা নামের ১ মাদককারবারি গ্রেপ্তার বরিশালে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত চরফ্যাশনে বিএনপি–জামায়াত সংঘর্ষ, আহত অন্তত ১৩ নগরীতে এক স্কুলছাত্রী ও তার মায়ের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা কলাপাড়ায় ডেভিল হান্টের অভিযানে আ.লীগ নেতা ফজলু ফকিরসহ ৩ জন গ্রেফতার স্কুল মোড়ে থাকা নিজের ছবি সম্বলিত বিলবোর্ড নিজেই নামিয়ে ফেলেন বর্গীর লাল চোখ জনগণ পাত্তা দেবেনা : মাস্টার আঃ মান্নান সোনালী ব্যাংক বঙ্গবন্ধু পরিষদ এখন জিয়া পরিষদে রুপ আমি কারও জমির ধান কাটি নাই, আমার বিরুদ্ধে সকল অভিযোগ মিথ্যা… হাফেজ আবদুল বারেক নির্বাচনী তফসিল ঘোষনাকে শুভেচ্ছা জানিয়ে কলাপাড়ায় বিএনপির আনন্দ মিছিল পটুয়াখালীতে যৌতুক মামলার বাদী ফাতেমাকে কোট চত্বরে সতিনের বর্বরোচিত হামলা পটুয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন আহম্মেদ তার ভাই আজাদসহ দুই স্ত্রীর বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামালা বরিশালে আন্তর্জাতিক নারী সহিংসতা প্রতিরোধ পক্ষ পালিত সচেতনতামূলক সভা ও প্রচার কর্মসূচি অনুষ্ঠিত বেগম জিয়ার জন্য ১৬ নং ওয়ার্ড শ্রমিকদলের দোয়া
কলাপাড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, শয্যা সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।।

কলাপাড়ায় বাড়ছে ডায়রিয়া রোগী, শয্যা সংকটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত।।

Sharing is caring!

মোয়াজ্জেম হোসে,পটুয়াখালী প্রতিনিধি:পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় আংশকাজনক হারে বাড়ছে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মার্চের মাঝামাঝি থেকে এ রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করে। ডায়রিয়া ওয়ার্ডে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শয্যা না থাকায় করিডোরের মেঝেতে ঠাঁই হয়েছে অনেক রোগীদের।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৭৭ জন ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যাই বেশি। প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৫ জন ডায়রিয়ার রোগী ভর্তি হচ্ছে এখানে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডায়রিয়া নিউমোনিয়াসহ  সর্বমোট ৭৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাই অতিরিক্ত রোগীকে ফ্লোরে চিকিৎসা নিতে দেখা গেছে। অতিরিক্ত রোগী ভর্তি থাকায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছে চিকিৎসকরা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র সিনিয়র স্টাফ নার্স বিউটি বিশ্বাস জানান, এখানে সেবা দেয়ার জন্য আমরা মোট ২৬ জন স্টাফ রয়েছি। ৩/৪ জন মাতৃত্বসহ অন্যান্য ছুটিতে রয়েছেন। করোণা কাজে চারজন দায়িত্বরত থাকেন। তিনটি শিফটে ১২ থেকে ১৫ জন উপস্থিত থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন, মেট্রোনিডাজল,  ওমিপ্রাজল এবং খাবার স্যালাইন পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে। শুধুমাত্র কলেরা স্যালাইনের কিছুটা সংকট রয়েছে। এছাড়া অতিরিক্ত ভিজিটর হাসপাতলে অবস্থান করায় হাসপাতাল অধিক নোংরা হয়। সেই সাথে রোগী সেবায়ও ব্যাঘাত ঘটে।

নাচনাপাড়া থেকে আসা ডায়রিয়া রোগী স্নিগ্ধা রায়ের বাবা সঞ্জয় রায় বলেন, মেয়েটির ৪ দিন পর্যন্ত ডায়রিয়া ও জ্বরে আক্রান্ত সকালে ভর্তি হয়েছি। সিট না পেয়ে ফ্লোরে চিকিৎসা নিচ্ছি।
বালিয়াতলী থেকে আসা তানহার বাবা মমিন গাজী বলেন, তিন দিন পর্যন্ত ডায়রিয়া ও বমি হচ্ছিল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এখানে ভর্তি করিয়েছি সিট পাইনি। তিনি আরও বলেন, প্রতিদিন সকালে একজন ডাক্তার আসেন। এরপর সমস্যা হলে এমারজেন্সিতে ডিউটি ডাক্তারের কাছে যেতে হয়।
এছাড়াও ইসা, মারিয়া ও কুলসুম আক্তার বলেন, বেড এবং ডাক্তার সংকট সমাধানে কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের অনুরোধ করছি।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিন্ময় হালদার বলেন, শয্যা ও চিকিৎসক স্বল্পতা থাকলেও আমরা রোগীদের উন্নত সেবা প্রদানের সর্বাত্মক চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে পর্যাপ্ত ওষুধ এবং স্যালাইন মজুত আছে। তাই এ নিয়ে রোগীদের আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন




© All rights reserved © crimeseen24.com-2024
Design By MrHostBD